বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৯:০৭ অপরাহ্ন
হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধরান্দী গ্রামের জাকিয়া আক্তার নামের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরন করে নেয়ার খবর পাওয়া যায়।
স্থানীয়সুএে যানাযায়, অপহরনকারী একই এলাকার বাসিন্দা মো,সিদ্দিক সিকদারের ছেলে ইয়াকুব সিকদার(৩৮)।
এবিষয়ে অপহরনকৃত নারী শিক্ষার্থীর পিতা, আবু জাফর সিকদার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, পটুয়াখালী আদালতে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন।
যানাযায় গত ২১ শে জানুয়ারী ২১ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ৭.৩০ মিনিটের সময় এ ঘটনাটি ঘটে।
মামলাসুত্রে , ঘটনার দিন সকালে নাবালিকা জাকিয়া বাড়ির পশ্চিম পাশের পুকুরে পানি আনতে যায়।এসময় অপহরনকারী তার সহযোগীদের নিয়ে জাকিয়াকে জোর পুর্বক টানাটানি করলে নাবালিকার ডাকচিৎকারে তার মা নুরনেহার বেগম বেড়িয়ে আসেন।এসে অপহরনকারীদের কবল থেকে মেয়েকে বাঁচাতে ডাকচিৎকার করলে এলাকার লোকজন বেড়িয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে নারী শিক্ষার্থীকে একটি মাহিন্দ্রা গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে আসামিরা।
পরে জাকিয়ার পিতাঃ জাফর সিকদার অপহরনকারীদের পিতা মাতা ও দুইজন সহযোগী সিদ্দিক সিকদার (৫৯) ও ফিরোজা বেগম (৫৪) কাছে তার মেয়েকে ফেরত চাইলে তাকে মামলা মোকদ্দমা করতে নিষেধ করে এবং মেয়েকে ফেরত দিবে বলে ফোনালাপে আশ্বস্ত করেন।
এবিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের বিষয়টি অবহিত করলে তারাও উদ্ধার চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় অবহিত করলে থানা কতৃপক্ষ আবারও খুঁজে দেখতে বলেন স্বজনদের। এদিকে কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও স্থানীয় কিংবা থানা কর্তৃক কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ না পেয়ে। নাবালিকার পিতাঃ জাফর সিকদার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, পটুয়াখালী আদালতে অপহরনকারীদের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা দায়ের করেন, যাহার ধারা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, সংশোধিত ২০০৩ এর ৭/৩০. মামলায় আসামিরা হলেন, ১). ইয়াকুব সিকদার (৩৮), পিতাঃ সিদ্দিক সিকদার, (২. ফারুক হাওলাদার (৩০).পিতাঃ মোসলেম হাওলাদার, (৩. সিদ্দিক সিকদার (৫৯), পিতাঃ মোন্তাজ সিকদার, (৪. রেহানা বেগম (৫৪). বিজ্ঞ আদালত মামলা তদন্তের জন্য থানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সরেজমিন অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে ঘটনাস্থলে গেলে প্রতিবেদ’কের মুখোমুখি হয়ে মামলার বাদী জাকিয়ায় পিতা, দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠের প্রতিনিধিকে বলেন, আমার মেয়েকে যারা অপহরন করে নিয়ে গেছে আইনের মাধ্যমে দ্রুত আমার মেয়েকে ফেরত চাই এবং আসামিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাই।
এনিয়ে কমলাপুর ইউনিয়নর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা মারাত্মক ও জঘন্য অপরাধ করেছে আমরা বিষয়টি জানার পরে অনেক চেষ্টা করে ও কোন খোঁজ খবর পাইনি আসামিরা যেহেতু অপহরণ হওয়া মেয়েটি একটি শিশু তাই আইনের মাধ্যমে দ্রুত আসামিদের খুজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির
সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য নাজমা বেগম ও তার স্বামী মো, নাসির সিকদার বলেন, ঘটনা সত্য এলাকাবাসী সকলেই জানে এমন জঘন্য অপরাধের বিচার হোক এমন দাবি এলাকাবাসীর। এবিষয়ে এলাকার একাধিক বাসিন্দারা মিডিয়াকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বলে তিনি জানান।